শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
তৃতীয় ধাপে বগুড়ার ধুনট পৌরসভা নির্বাচন আগামী ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক, বিএনপি মনোনিত আলিমুদ্দিন হারুন মন্ডল, কমিউনিষ্ট পার্টির সাহা সন্তোষ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এজিএম বাদশাহ।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলিমুদ্দিন হারুন মন্ডল, সাহা সন্তোষ ও এজিএম বাদশাহ-এর চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক শিক্ষা ও সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে তিনি স্নাতকোত্তর পাস ও পেশার ঘরে শিক্ষকতা উল্লেখ করেছেন। তার বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৫ টাকা। এরমধ্যে পেশা থেকে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৫টাকা, কৃষিখাতে ২০ হাজার টাকা এবং ভাড়া থেকে ৩৩ হাজার ৬০০টাকা। ২টি মামলা থেকে প্রত্যাহার সূত্রে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। কৃষি জমি আছে ০.৪০ একর। নগদ আছে ৩২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭০ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১২ লাখ ৩০ হাজার ২৫৬ টাকা। স্বর্ণ আছে নিজের নামে ২০ ভরি ও স্ত্রীর নামে ২০ভরি। নিজের নামে ১টি পাকা বাড়ি ও স্ত্রীর নামে ১টি প্রাইভেট কার আছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী আলিমুদ্দিন হারুন মন্ডল হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে এসএসসি পাশ উল্লেখ করেছেন। পেশা ব্যবসা। তার বার্ষিক আয় ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নগদ টাকা আছে ১ লাখ ৬২ হাজার। কৃষি জমি ০.৭৬ একর ও অকৃষি জমি ০.২১৯৪ একর। ব্যাংকে জমা আছে ১ হাজার ১০০ টাকা। স্বর্ণ আছে সাড়ে ৩ ভরি। আধাপাকা ১টি বাড়ি ও কৃষি জমি ০.৪১ একর। ব্যাংকে ঋণ আছে ৬ লাখ ১২ হাজার ৩৫৮ টাকা। তার নামে মামলা ১৯টি। এরমধ্যে ১৬টি মামলায় খালাস, ১টি মামলা বিচারাধীন ও ২টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এজিএম বাদশাহ হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে এইচএসসি পাস এবং পেশার ঘরে ব্যবসা ও মেয়র উল্লেখ করেছেন। তার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে ভাড়া থেকে পান ৪৫ হাজার, মেয়র পদের জন্য সম্মানী পান ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কৃষি জমি ০.১০৫০ একর ও অকৃষি জমি ০.২৩৫০ একর। নগদ টাকা আছে ৯ লাখ ৫৮ হাজার। ব্যাংকে জমা আছে ১০ হাজার টাকা। স্বর্ণ আছে ২০ ভরি। ব্যাংক ঋণ ৬ লাখ টাকা। প্রত্যাহার সূত্রে ৩টি মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।
বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির বীরমুক্তিযোদ্ধা সাহা সন্তোষ হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে স্ব-শিক্ষিত এবং পেশার ঘরে প্রযোজ্য নহে উল্লেখ করেছেন। তার বার্ষিক আয় বলতে মুক্তিযোদ্ধা সন্মানী ভাতা থেকে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। নগদ টাকা ৫হাজার ও ব্যাংকে জমা আছে ১ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্র আছে ২ লাখ টাকার, স্বর্ণ ২০ ভরি। তার নামে মামলা, কৃষি জমি ও কোন প্রকার ঋণ নেই।